জনস্বার্থে দায়ের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
ছয় সপ্তাহের মধ্যে কারা মহাপরিদর্শককে তালিকা দাখিল করতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আকতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী জে আর খান (রবিন)।
আদালতের আদেশ নিশ্চিত করে জে আর খান রবিন বলেন, সারাদেশের সব কারাগারে বন্দীদের ধারণ ক্ষমতা, বন্দী ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলও জারি করেন।
রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার নিশ্চিতে মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শুন্য পদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনী ঘোষনা করা হবে তা জানতে চেয়েছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে ৬৮টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয়। বাকী ৫৫টি জেলা কারাগার। এসব কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ আসামি রয়েছে। ১২৯ জন কারা চিকিৎসকের বিপরীতে মাত্র ৯ জন কর্মরত রয়েছেন। এ বিষয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করি।’