সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্কয়ার হাসপাতালের মুখপাত্র ডাঃ মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘অসুস্থ অবস্থায় আইয়ুব বাচ্চুকে তার ড্রাইভার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখনই আমরা ধারণা করেছিলাম যে তিনি হয়তো মারা গেছেন। কেননা তার মুখ দিয়ে লাল ফেনা বের হচ্ছিলো। তবুও আমাদের ডাক্তারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল তার দেখাশোনা করে এবং সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
‘সর্বশেষ গত সপ্তাহে স্কয়ার হাসপাতালে আইয়ুব বাচ্চু চিকিৎসা নিয়েছিলেন’ উল্লেখ করে স্কয়ার হাসপাতালের মুখপাত্র জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে আইয়ুব বাচ্চু হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। তার হার্টের কার্যক্ষমতা ছিলো ৩০ শতাংশ।’
এর আগে ২০০৯ সালে তিনি হার্টে রিং পরিয়েছিলেন বলেও জানান ডাঃ মো. নাজিম উদ্দিন।
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী আইয়ুব বাচ্চু দেশের পপ সংগীতকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিলেন।
তিনি একাধারে গায়ক, লিড গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও প্লেব্যাক শিল্পী ছিলেন।
বাচ্চু জনপ্রিয় সংগীত ব্যান্ড ‘এলআরবি’র কর্ণধার ছিলেন।
‘হারানো বিকেলের গল্প’ গানের মধ্য দিয়ে সংগীতজগতে আইয়ুব বাচ্চুর ব্যতিক্রমী দরাজ কণ্ঠের যাত্রা শুরু হয়।
১৯৮৬ সালে তার প্রথম মিউজিক অ্যালবাম ‘রক্ত গোলাপ’ প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’ বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৯৫ সালে তৃতীয় অ্যালবাম ‘কষ্ট’ প্রকাশের পর শ্রোতাদের হৃদয় জয় করে নেন আইয়ুব বাচ্চু। সুপারহিট হয় অ্যালবামটির ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’ গানটি।
মূলত রক সংগীতশিল্পী হলেও তিনি আধুনিক, ক্লাসিক ও ফোক সংগীতেও সমান পারদর্শী ছিলেন।
হৃদয়স্পর্শী গানের মাধ্যমে দেশের হার্টথ্রব সংগীত তারকায় পরিণত হন তিনি।
১০ বছর ‘সোলস’ ব্যান্ডের সাথে থাকার পর ১৯৯১ সালে আত্মপ্রকাশ ঘটে আইয়ুবের নিজের ব্যান্ড ‘এলআরবি’র। সেখানে তিনি লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল ছিলেন।