রবিবার কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মনিরুজ্জামান উরফে হলুদ উরফে সুজন (৩২) এবং শামীম হাওলাদার উরফে জহির (৩৮)।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এম. এ আফজল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায়ে মনিরুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা এবং শামীমকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযুক্ত অপর ছয় আসামি মোস্তফা মীর উরফে রানা, জয়নাল আবেদীন, দীলবর হোসেন, আবুল হোসেন, মো. বাবুল মিয়া, কবীর হোসেন শান্তকে ৪ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সনের ২১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের দুই কলেজছাত্রীর সাথে মনিরুজ্জামান ও শামীম হাওলাদার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেম করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে ঢাকা কারওয়ান বাজারস্থ ওয়েস্টার্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে।
এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা আবু বক্কর ছিদ্দিক বাদী হয়ে মামলা করলে প্রথমে মামলাটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় ও পরে ডিবি পুলিশের নিকট মামলাটি স্থানান্তর করলে ডিবির ওসি আমজাদ হোসেন আটজনকে আসামি করে চার্জশীট দেয়।
দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ এই রায় ঘোষণা করেন আদালত।
মামলাটিতে আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাড. সাইফুল হক খান সাজন ও এ্যাড. সিরাজ উদ্দিন।