রবিবার জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মুজিবুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ১৭৫ জন রোগী ভর্তি হলেও বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ২৫ জন। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ১৫০ জন।
তিনি জানান, চিকিৎসাধীন রোগীর মধ্যে কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় এবং এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় চিকিৎসাধীন কেউ মারা যায়নি।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সরেজমিনে দেখা গেছে, আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীরা কেউই মশারি ব্যবহার করছেন না।
দক্ষিণ এশিয়ার আরও অনেক দেশের মতো এ বছর বাংলাদেশে এডিস মশাবাহী ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ দেখা দিয়েছে। যার কেন্দ্রে রয়েছে জনবহুল শহর রাজধানী ঢাকা।
সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ৫২৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নতুন রোগীদের মধ্যে রাজধানীতে ভর্তি হয়েছেন ১৫৬ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরে ৩৭১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ২ হাজার ৯৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ২৮৫ জন ভর্তি আছেন।
সরকারি হিসেবে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার ৫৬৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন ৭৭ হাজার ৩৬৮ জন।
এখন পর্যন্ত রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২০৩টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সংস্থাটি ১০১টি ঘটনার পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ৬০টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।