বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সিটি করপোরেশনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে কেসিসি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এ বাজেট ঘোষণা করেন।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরের (গত অর্থ বছরের) প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৪৪০ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। পরে তা সংশোধিত আকারে দাঁড়ায় ২৫৫ কোটি ৭৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা। বাস্তবায়ন হয়েছে শতকরা ৫৮ দশমিক ২৯ ভাগ।
গত অর্থ-বছরের তুলনায় এবার বাজেটের আকার বেড়েছে। বাজেটে খুলনা সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে রাজস্ব তহবিল থেকে ১৩৪ কোটি ২২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা এবং প্রারম্ভিক স্থিতি ৪৭ কোটি ৬৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কেসিসি মেয়র বলেন, বাজেটের রাজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮১ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এবং সরকারি বরাদ্দ ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হতে উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৫ কোটি ২০ লাখ আট হাজার টাকা।
তিনি বলেন, এটি একটি উন্নয়নমুখী বাজেট। এই বাজেটে জনকল্যাণের জন্য নতুন নতুন কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তবে বাজেটে নতুন কোনো কর আরোপ করা হয়নি।
মেয়র মনিরুজ্জামান বলেন, বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৭ কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে পূর্ত খাতে ৪৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, কনজারভেন্সি খাতে ১৬ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং জনস্বাস্থ্য খাতে ১১ কোটি টাকা উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ১২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এবং খুলনায় একটি পাবলিক হল কমপ্লেক্স নিমার্ণের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। খালিশপুরে ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় একটি কলেজিয়েট গালর্স স্কুল নির্মাণ কাজ চলছে। এই প্রকল্পে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জন্য সাড়ে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় লাইফ স্টক ডেভলমেন্ট বেজ ডেইরী রেভ্যুলেশন এবং মিট প্রডাকশন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা জানান মেয়র। তিনি বলেন, এ প্রকল্পে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
কেসিসি মেয়র বলেন, শুধুমাত্র সরকারি বা বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভর করে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য কেসিসিকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য বিকল্প চিন্তা করতে হবে।
বাজেট ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা, অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ মো. গাউসুল আযমসহ কাউন্সিলরবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, নাগরিক, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।