সেই সাথে যাদের জ্বর, কাশি, সর্দি বা কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যান্য লক্ষণ আছে তাদের পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরিবারের সদস্য ও রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মসজিদে ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনায় না যেতে বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারের উচ্চ ও মাঠ-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে এসব নির্দেশনা ঘোষণা করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ অন্যান্য সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আহমেদ কায়কাউসের সাথে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব।
সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের উপমহাপরিদের্শকরা (ডিআইজি) বিভাগীয় কমিশনারদের সাথে এবং পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনরা জেলা প্রশাসকদের সাথে ছিলেন।
মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে মুখ্যসচিব বলেন, ‘সব প্রকার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আপনাদের অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে।’
গণপরিবহন চলাচল বিষয়ে আহমেদ কায়কাউস বলেন, এ বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ‘বরং, জ্বর, কাশি ও সর্দি থাকা ব্যক্তিদের গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। এমনকি এমন লক্ষণ থাকা পরিবহন শ্রমিকদেরও কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।’
তিনি জানান, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সরকারের নীতি হলো লকডাউন নয়, বরং ব্যবস্থা নেয়া।
দেশে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে মাঠ প্রশাসনকে হোম কোয়ারেন্টাইন বিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। ‘কেউ যদি হোম কোয়ারেন্টাইন বিধি লঙ্ঘন করেন তবে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিন।’ এ বিষয়ে নজরদারি জোরদার করারও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
গত তিন মাসে বিদেশ থেকে ফেরা ব্যক্তিদের তালিকা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নজরদারি জোরদার এবং হোম কোয়ারেন্টাইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা ভিত্তিক তালিকা বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব হোম কোয়ারেন্টাইন লঙ্ঘনকারীদের দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় শাস্তি দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।