সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের পর অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘যেই রিপোর্টগুলো আগেও দাখিল করা হয়েছিল, সেগুলো আবারও দাখিল করা হয়েছে। সব রিপোর্ট আদালতে পড়ে শোনানো হয়েছে। তাতে আমরা দেখিয়েছি, আসলে তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো অবনতি হয়নি। যেভাবে ছিল, সেরকমই আছে।’
তার স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদনে কী আছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সর্বশেষ রিপোর্টে বলা রয়েছে- তার দুটো হাঁটু রিপ্লেসমেন্ট করা হয়েছে। একটা ১৯৯৭ সালে, আরেকটা ২০০২ সালে।
‘স্বাভাকিভাবে এতো দিন পরে রিপ্লেসমেন্টের কার্যকারিতা থাকে না। সেই ক্ষেত্রে এটার অ্যাডভান্স চিকিৎসা নিতে হয়। কতগুলো বিশেষ ধরনের ইনজেকশন রয়েছে, সেই ইনজেকশন নেয়ার ব্যাপারে তার অনুমতি না পাওয়া গেলে তা দেয়া যাবে না। উনি (খালেদা জিয়া) অনুমতি দিচ্ছেন না। আদালত বলেছেন, উনি যদি অনুমতি দেন তাহলে সে চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেন করে,’ বলেন মাহবুবে আলম।
আদালতে শুনানির বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর আগে একটি মামলায় উনাকে (খালেদা) ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই মামলায় সাত বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মোট তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে ১৭ বছর। কাজেই এটাকে বলা যাবে না, এটা শর্ট সেন্টেন্স (সংক্ষিপ্ত সাজা)। সুতরাং এখানে তিনি জামিন পেতে পারেন না।’
‘চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার থেকে সর্বাত্মক সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে প্রিজন সেলে রাখার কথা, কিন্তু তাকে ভিআইপি কেবিনে রাখা হয়েছে। তাকে (খালেদা) সেবা দান করার জন্য একজন সেবিকা দেয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখভাল করছেন। কিন্তু তার অনুমতি না পেলে অ্যাডভান্স চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না,’ যোগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।