এছাড়া ইলেকট্রনিক সিগারেট তরুণদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হওয়ায় তারা ওপরও সরকারকে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্ট্যাডিজের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির এ সময় মাদকের ব্যবহার রোধে কিছু সুপারিশমালা তুলে ধরেন।
সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা চারটি থেকে কমিয়ে দুটিতে নিয়ে আসা, বিড়ির ফিল্টার ও নন-ফিল্টার মূল্য বিভাজন তুলে দেয়া, ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্তকরণ এবং তামাক পণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রাখা।
এছাড়া সব ধোঁয়াহীন তামাক পণ্য উৎপাদনকারীদের সরকারের করজালের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেন তিনি।
প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী (১.৩ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী এবং ১.৯ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী) ধূমপান ছেড়ে দিতে আগ্রহী হবে বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সিগারেট ব্যবহার ১৪ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১২.৫ শতাংশ এবং বিড়ির ব্যবহার ৫ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৩.৪ শতাংশ হবে।
এছাড়াও ৬ হাজার ৬৯০ কোটি থেকে ১১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকার মধ্যে (জিডিপির ০.৪ শতাংশ পর্যন্ত) অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং জাতীয় মাদকবিরোধী জোটের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ বলেন, তামাক পণ্যের মূল্য বাড়ানো হলে ধূমপানকারীর সংখ্যা হ্রাস পাবে।
মাদক পণ্যের ওপর সার্বিক করারোপ পদ্ধতি বৃদ্ধির জন্য তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অন্যা নীতি নির্ধারকরা প্রায়ই এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করছেন কিন্তু তাদের কথা বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে না।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, দরিদ্র জনগণ স্বাস্থ্য সচেতন নয়। তারা হাতের কাছে সস্তায় সিগারেট পেয়ে তা গ্রহণ করছেন। তাই ধূমপানকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ।
প্রজ্ঞা ও অ্যান্টি টোব্যাকো অ্যালায়েন্স (আত্মা’র) উদ্যোগে তামাকবিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি), ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন (ইপসা), সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার্স আর্টস (বিটা) এবং তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।