লন্ডনে তাজ হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘খুনি ও অর্থ-পাচারকারীদের কোনো ক্ষমা নেই। তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক এবং যত টাকাই খরচ করুক না কেন জাতি তাদের ক্ষমা করবে না।’
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলো এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদালত খুনি ও অর্থ-পাচারকারীদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। ‘আমরা এ রায় কার্যকর করতে পদক্ষেপ নেব, তারা যত স্লোগানই দিক এবং যত তিরস্কারই করুক...তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, সব প্রতিকূলতা ও বাধা অতিক্রম করে সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১০ বছরে দেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়নের কারণে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভূমিধস জয় পেয়েছে।
এ বিজয় যেন ম্লান না হয় এবং অতীতের মতো যাতে কেউ জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। ‘দেশের ইতিহাস যেন কেউ বিকৃত করতে না পারে এবং জনগণের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে বিষয়ে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে,’ বলেন তিনি।
বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণ করছে। ‘বর্তমানে এ সেতুর সাড়ে ৬ কিলোমিটারের মধ্যে দুই কিলোমিটার দৃশ্যমান,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ‘কিন্তু আমরা এ অভিযোগ মেনে নেইনি, বরং আমরা প্রতিবাদ করেছি, আমাদের সেই সাহস ছিল,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কেন এ অভিযোগ মেনে নেব যা আমরা করিনি... একটি সংস্থা আমাদের দোষ দেবে আর আমরা সেটা মেনে নেব, এটা কখনো হতে পারে না। কোনো দোষ নিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই না।’
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, মিথ্যা দোষের দায় তিনি নেবেন না এবং তিনি জানেন যে জনগণ সত্যকে ভালোবাসে। ‘আমি জানি যে সত্যের পথ বড় কঠিন এবং এ পথকে বেছে নিয়েই আমি এ পর্যায়ে এসেছি।’
সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির মিথ্যা গুজবের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যাদের জন্ম মিথ্যা ও অবৈধভাবে তারা সবকিছুই অবৈধ দেখে।
‘আমি একটি কথায় বিশ্বাস করি যে সত্যের বিজয় অবশ্যম্ভাবী’ যোগ করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা নিয়ে ব্যবসা করা বিএনপির স্বভাব। তারা এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং বিদেশে টাকা পাচার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছে।’