সোমবার দুপুরে নগরীর ছোট মির্জাপুর রোডস্থ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। তবে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার প্রমাণ না মিললেও সনদ প্রদান রেজিস্ট্রার এবং সনদ প্রার্থীদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দুদক দল।
দুদক খুলনা সূত্র জানায়, উপরোক্ত অভিযোগ মর্মে ১০৬ নম্বরে দুদক প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল সোমবার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
এ সময় অফিসের উচ্চমান সহকারী এসএম মহসিন আলীকে সনদ প্রদান রেজিস্ট্রার দেখাতে বললেও তিনি দেখাতে পারেননি। অভিযানকালে সিভিল সার্জন বাইরে থাকায় তাকে খবর দিয়ে আনা হয়।
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আবদুর রাজ্জাক বলেন, স্বাস্থ্য সনদ প্রদান বাবদ ১০০ টাকা করে নিতে ১৯৮৭ সালের এক আদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন রয়েছে। সে বাবদ টাকা নেয়া হয়। কিন্তু টাকার বিপরীতে কোনো রশিদ, হিসাব বা এ-সংক্রান্ত কোনো রেজিস্ট্রার তার দপ্তরে সংরক্ষণ করা হয় না বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এ সময় দুদক দল স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ প্রদান বাবদ কোনো ফি নেয়া হয় না মর্মে লিখিত ব্যানার টাঙিয়ে রাখা এবং এ-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার সংরক্ষণের পরামর্শ দেয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও একই ধরনের অভিযোগে দুদক খুলনার সিভিল সার্জন অফিসে অভিযান চালায়।