সোমবার সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রাম থেকে শিশুটির লাশ পুলিশ উদ্ধার করে।
নিহত তুহিন ওই গ্রামের আব্দুল বাছের মিয়ার ছেলে।
ঘাতকদের নির্মমতার এ ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তোলপাড় চলছে। এলাকায় বিরাজ করছে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
তুহিনদের আত্মীয় আবুল হোসেন জানান, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে তাদের এক ভাতিজি দেখেন বাছের মিয়ার ঘরের দরজা খোলা। তার ডাকে বাছের মিয়া ও তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে দেখেন তুহিন ঘরে নেই। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে রক্ত পাওয়া যায়। এরপর কিছু দূরে সুফিয়ান মোল্লার উঠানে মসজিদের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতকদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআইওয়ান) আনোয়ার হোসেন মৃধা ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি কাজি মুক্তাদির হোসেন নিহতের বাবা আব্দুল বাছেরসহ চারজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বাছের মিয়া বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা কীভাবে আমার পাশ থেকে ছেলেকে তুলে নিয়ে গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার তেমন কারও সাথে শত্রুতা নেই। কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না।’