সোমবার সকালে নগরীর মাস্টারবাড়ি নান্দুয়াইন এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা কার্ভাডভ্যানে পেছনে পিকআপে ধাক্কায় চালকসহ তিনজন ও রবিবার সন্ধ্যায় কড্ডা এলাকায় পুলিশের প্রিজনভ্যানের ধাক্কায় এক পোশাক শ্রমিক নিহত হন।
নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানার বলদিয়া গ্রামের মোস্তফা খানের ছেলে পিকআপ চালক হাসান খান (১৯), একই গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে হেলপার নাঈম মাঝি (১৮) ও লালমনিরহাটের হাতিবান্দা থানার দৈখাওয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী হোসেনের ছেলে সামিউল মিয়া (১৬) এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা বাউপাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে পোষাক শ্রমিক নজরুল ইসলাম কাজল (৪৫)।
স্থানীয়দের বরাতে জিএমপির সদর থানার এসআই ইমতিয়াজুর রহমান জানান, সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে টঙ্গী থেকে ছেড়ে আসা ডিমের কেস বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান শ্রীপুর যাচ্ছিল। পথে মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং চালক হাসানসহ হেলপার নাঈম ও সামিউল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। গাড়ি দু’টি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কড্ডা এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় কাশিমপুরগামী পুলিশের একটি প্রিজনভ্যানের ধাক্কায় নজরুল ইসলাম কাজল নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহতের ছেলে জাহিদ হাসান নিলয় জানান, সন্ধ্যার দিকে নজরুল ইসলাম নলজানীর গ্রেটওয়াল সিটির বাসা থেকে কোনাবাড়ি এলাকার তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে পুলিশের একটি প্রিজনভ্যানের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।