তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার বিচারের আদালত নিয়েও গুজব-মিথ্যাচার চলছে। আদালত কোথায় বসল সেটা বিচার্য নয়, আদালত প্রকাশ্য কিনা সেটাই বিচার্য। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও সংশয় তৈরির জন্য গুজব-মিথ্যাচার চালাচ্ছে দেশবিরোধী গোষ্ঠী। এরা মানুষের শত্রু, দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু।’
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে তথ্য অধিদফতর আয়োজিত ‘গুজব: গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
গুজব, মিথ্যাচার, উসকানি ও তথ্য বিকৃতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ওপর একটি জাতীয় প্রচার অভিযান এবং সংবাদপত্র, টেলিভিশন, বেতার ও অনলাইন গণমাধ্যমগুলোতে একযোগে গুজব, মিথ্যাচার, উসকানি ও তথ্য বিকৃতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।’
‘বাংলাদেশবিরোধী চক্রের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যাচার, তথ্য বিকৃতি, তথ্য ধামাচাপা দেয়া ও চরিত্র হনন। নামে-বেনামে, দেশ থেকে বা বিদেশ থেকে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এই অপকর্মে লিপ্ত। এরা আসলে অপরাধী বলেই নাম গোপন রেখে ভিন্ন নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ায়। এ অপপ্রচার থেকে রেহাই পেতে ডিজিটাল লিটারেসির বিকল্প নেই। অর্থাৎ জনগণকে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য সচিব আবদুল মালেক ও অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী।