গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ৬ লাখ এবং শোলাকিয়ায় ৫ লাখ মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন বলে আয়োজকরা দাবি করেছেন।
দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত ঈদের জামাতে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম অংশ নেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং দেশের অন্যান্য অংশের মতো বৃষ্টি না হওয়ায় জামাত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম প্রমুখ নামাজে অংশ নেন।
এ সময় ঈদগাহের পরিকল্পনাকারী ও উদ্যোক্তা স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম সকলকে নামাজে যোগ দেয়ায় ধন্যবাদ জানান এবং এ ঈদগাহ নির্মাণে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ১৯২তম ঈদুল ফিতরের জামাতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কমপক্ষে ৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ২৫ মিনিট দেরিতে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে নামাজ শুরু করেন ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
আগত মুসল্লিদের অনেকে মাঠে জায়গা না পেয়ে পাশের রাস্তা, ফাঁকা জায়গা, নদীর পাড় ও শোলাকিয়া সেতুতে জামাতের জন্য দাঁড়িয়ে পড়েন।
জামাতে কিশোরগঞ্জসহ ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, গাজীপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, জামালপুর, খাগড়াছড়ি, শেরপুর, যশোর, খুলনা ও চট্টগ্রাম থেকে আসা মুসল্লিদের সমাগম ঘটে।
জামাত শুরুর আগে ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এবং ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহদী হাসান মুসল্লিদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
নামাজে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে চলাচল করেছে দুটি বিশেষ ট্রেন। একটি ট্রেন সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে এবং অন্যটি পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসে।
জামাত কেন্দ্র করে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন ছিল বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য। মাঠের চারপাশে বসানো হয় নিরাপত্তা চৌকি। ৩২টি প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের দেহ তল্লাশি করা হয়।