বুধবার কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে শুনানি হয়। এ বিষয়ে ৩১ মার্চ আদেশ দেয়া হবে।
বিকালে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে।
এর আগে দুপুরে ক্যাবের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করা হয়।
এদিকে, আদালতের বরাত দিয়ে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাবকে তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। গণশুনানি স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতিপূর্বে বিইআরসি ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর গ্যাসের সঞ্চালন ও বিতরণ ফি বৃদ্ধির আদেশ দিয়েছিল। এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা রিট করেছিলাম। ওই রিটে আদালত রুল জারি করেছিল। রুল পেন্ডিং থাকা অবস্থায় তারা আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবে গণশুনানির জন্য নোটিস দেয়। ওই নোটিসের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে আমরা আজ আবার একটি আবেদন করেছি। আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ ৩১ মার্চ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতের কাছে গণশুনানি স্থগিত চেয়েছি। এছাড়া আইন অনুযায়ী এক অর্থবছরে গ্যাসের দাম দুবার বৃদ্ধি করা যায় না। ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর যদি একবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে আবার কীভাবে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির জন্য গণশুনানি করতে পারে? এখানে যেটা ঘটেছে সেটা হলো- কোনো একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দেয়ার জন্য এ ধরনের মক ট্রায়াল চালানো হচ্ছে।’