আদালত আগামী রবিবার আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করে বলেছেন, এ সময়ে এ বিষয় নিয়ে গ্রামীণফোন অন্য কোনো ফোরামে (আরবিট্রেশনের জন্য) যেতে পারবে না।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
পরে আদালতের বরাত দিয়ে খন্দকার রেজা-ই-রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু (বিটিআরসি) পাওনা নিয়ে নিষ্পত্তির বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে সেহেতু এটি অন্য কোনো মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করতে নিষেধ করেছেন আপিল বিভাগ।’
তিনি বলেন, ‘আদালতের বাইরে কোন অন্য কোন মধ্যস্ততার মাধ্যমে সালিশ (আরবিট্টেশন) করা যাবে না বলেছেন।’
এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর বিটিআরসির পাওনা টাকার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা শর্ত সাপেক্ষে দিতে রাজি হয় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। সেদিনের শুনানি শেষে মামলায় আদেশের জন্য আজকের (১৮ নভেম্বর) দিন ধার্য ছিল আপিল বিভাগে।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৭টি খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি (বিটিআরসির ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি ও এনবিআরের ৪ হাজার ৮৬ কোটি) টাকা পাওনা দাবি করে গ্রামীণফোন লিমিটেডকে গত ২ এপ্রিল চিঠি দেয় বিটিআরসি।
ওই পাওনা দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে গ্রামীণফোন নিম্ন আদালতে একটি মামলা করে ও পাওনা দাবির অর্থ আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চায়।
গত ২৮ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর বিরুদ্ধে গ্রমীণফোনের পক্ষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। এর গ্রহণযোগ্যতার শুনানি নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং ওই অর্থ আদায়ের ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আবেদন করে, যা চেম্বার বিচারপতির আদালত হয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আসে।