গ্রেপ্তারকৃত অভিজিৎ কুমার দে বগুড়া কর অঞ্চলের সার্কেল-১৪ তে কর্মরত।
দুদক সূত্র জানায়, জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ব্যবসায়ী ইউনুছ আলী কয়েক বছর আগে কিছু জমি বিক্রি করেন। এ বছর তার আয়কর ফাইলে জমি বিক্রির বিষয়টি দেখাতে চান। এজন্য তিনি কর অফিসে যোগাযোগ করলে গত ছয় মাস ধরে তার ফাইলটি আটকে রাখা হয়। এক পর্যায়ে সহকারী কর কমিশনার অভিজিৎ কুমার দে ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
ইউনুছ আলীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার দুদকের একটি দল কর অফিসে (সার্কেল-১৪) ফাঁদ পাতে। ঘুষের ৫০ হাজার টাকা প্রদান করার পর দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে দুদকের দলটি কক্ষে প্রবেশ করে ঘুষের টাকা উদ্ধার করে। পরে অভিজিৎ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত অভিজিৎ কুমারের টেবিলের ড্রয়ার থেকে ঘুষের ৫০ হাজার টাকা উদ্ধারের পর তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দায়ের করা হবে। একই সাথে অনিয়মের বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।