শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অভিনয় শিল্পী সংঘের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সে দায় নেতা হিসেবে বেগম জিয়া বা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- কেউই এড়াতে পারেন না। সেগুলো দুর্ঘটনা ছিল না, সেগুলো ছিল ঘটনা। যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, তাদের মুখে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে এমন মন্তব্য শোভা পায় না।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী জানান, মর্মান্তিক এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন, বারবার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সরকার এ ঘটনায় পূর্ণ তৎপর রয়েছে। বিরোধী দলের উচিত এ ধরনের দুর্ঘটনায় সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।’
তিনি পাশের দেশ ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, নির্বাচনের কয়েক মাস আগের সময়েও সে দেশে বিরোধী দল দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সাথে কাঁধ মিলিয়ে কাজের ঘোষণা দিয়েছে।
চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নাকি উদ্দেশমূলম- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তা বেরিয়ে আসবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশ আজ মর্মাহত,শোকাহত। এমন সময়ে গণশুনানির নামে নাটক না করে তাদের উচিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’
এর আগে অভিনয় শিল্পী সংঘের সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে তথ্যমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া ও অনুপ্রেরণাদায়ী সব শিল্পীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শিল্পচর্চা জাতিকে সমৃদ্ধ করে। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে অভিনয় শিল্পীদের অবদান সমুন্নত রাখতে বর্তমান সরকার গগণমাধ্যমের যুগান্তকারী বিকাশ সাধনসহ বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
চলতি বছর একুশে পদকপ্রাপ্ত তিন শিল্পী সুবর্ণা মুস্তফা,লিয়াকত আলী লাকী ও লাকী ইনামকে অনুষ্ঠানে অভিনয় শিল্পী সংঘের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
সংগঠনের সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চুর সভাপতিত্বে এ সময় সৈয়দ হাসান ইমাম,মামুনুর রশীদ,ড. ইনামুল হক,তৌকির আহমেদ,আফসানা মিমি,মাহফুজ আহমেদ,তানভীন সুইটি, তানিয়া আহমেদ ও আহসান হাবিব নাসিমসহ কয়েকশ অভিনয় শিল্পী উপস্থিত ছিলেন।