তার আপন ছোট ভাই ওয়াহেদ আজগর চৌধুরীর ছেলে ডা. আহমদ ফয়সাল চৌধুরী অভিযোগ করেন, বৈধ উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তির ভোগদখল ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেশের সব আইনকানুন অমান্য করে শাহেদ আজগর চৌধুরী নিজেই শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি এককভাবে ভোগ দখল করেছেন।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. ফয়সাল জানান, তার বাবা ওয়াহেদ আজগর চৌধুরী, তার অপর তিন ভাই শাহেদ আজগর চৌধুরী, রাশেদ আজগর চৌধুরী ও মোরশেদ আজগর চৌধুরী একমত হয়ে ১৯৭৪ সালে পারিবারিক সম্পত্তি ও নগদ মূলধন দিয়ে ‘নূপুর এন্টারপ্রাইজ লি.’ নামে কোম্পানি গঠন করেন। যার অধীনে নগরীর প্রাণকেন্দ্র স্টেশন রোডে এই কোম্পানির নামে ৩৭ গন্ডা জমির ওপর নির্মিত হয় সাততলা ভবন। যেখানে আছে প্রায় ৭২৮টি দোকান। যার মাসিক আয় প্রায় দশ লাখ টাকা।
এই কোম্পানি গঠনের পর ২২ বছর তা ভালোভাবেই চলে। পরিবারের পক্ষে সব কিছু দেখভাল করতেন শাহেদ আজগর চৌধুরী। কিন্তু ১৯৯৬ সালের পর কোম্পানির বোর্ড মিটিং, সাধারণ সভা এবং অডিট না হওয়ায় নূপুর এন্টারপ্রাইজ লি. অকার্যকর হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. ফয়সাল অভিযোগ করেন, এই সুযোগে তার জেঠা শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য নিজেকে কোম্পানির এমডি দাবি করেন। এমডি হিসাবে স্বাক্ষর করে ৭২৮টি দোকান ও অফিস এর ভাড়া গ্রহণ করেন। এ ছাড়া দোকান ট্রান্সফার ও বিক্রয় বাবদ কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এমনকি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কোম্পানির ৪,০২২ বর্গফুটের অফিস স্পেসও বেঁচে দেন জনৈক আবুল কাশেমের নিকট। মার্কেটের তৃতীয় তলায়ও সমপরিমাণ স্পেস বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেন।
ফয়সালের দাবি, তাদের বাবা ও চাচা চারজনের মধ্যে একমাত্র সে এবং তার ছোট ভাই বংশের উত্তরাধিকার। অন্য তিন চাচার কন্যা সন্তান হওয়ায় তারা এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারেন না। এজন্য তিনি জেঠা শাহেদ আজগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহেদ আজগর চৌধুরী বলেন, ‘সে (ডা. ফয়সাল) তিলকে তাল বানাচ্ছে। আমি অন্যায়কে কখনো প্রশয় দেইনি। আমি কেন সম্পত্তি দখল করে রাখবো। আমি চাই এসবের সমাধান হয়ে যাক। সবার সম্মতিতে নূপুর এন্টারপ্রাইজের এমডি হয়েছি। তারাইতো এসব চালাবে। এ মুহূর্তে বোর্ডের কেউ তাকে এমডি হিসেবে চাচ্ছে না। আর আমি বা যে কেউ চাইলে এমডি হওয়া যায় না।’