এদিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৩৯৩ জন। যা গতবারের চেয়ে ৭১০ জন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
সোমবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান।
এবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির ১৯০ কেন্দ্রে এক লাখ ৪৯ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে পাসের হার ৭৮.১১ শতাংশ। গত বছর যা ৭৫.৫০ শতাংশ ছিলো।
অন্যদিকে গত বছর ৮ হাজার ৯৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও এবার তা কমে ৭ হাজার ৩ ৯৩ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার বাড়লেও জিপিএ-৫ কমেছে ৭০১টি।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান জানান, এবার পাসের হার ৭৮.১১ শতাংশ হলেও এর মধ্যে ছাত্র পাসের হার ৭৮.৪৩ এবং ছাত্রী পাসের হার ৭৭.৮৩। ফলে পাসের দিক দিয়ে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা ০.৬০ শতাংশ এগিয়ে আছে।
তিনি আরও জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাসের হার যথাক্রমে ৫.৬৬, ১.৪৬ ও ১.৯৯ শতাংশ বেড়ে ৬৫.৭৯, ৯১.৪৬ এবং ৮০.৮৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত বছর এ হার ছিলো যথাক্রমে ৯০.০০, ৬০.১৩ এবং ৭৮.৮৬ শতাংশ।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে- বিগত বছরগুলোতে তিন পার্বত্য জেলায় পাসের হার কম থাকলেও এবার শিক্ষাবোর্ডের বিশেষ নজরদারির কারণে সেখানে পাসের বেড়েছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানে গত বছর পাসের হার যথাক্রমে ৬২.৭২, ৫০.৫২ ও ৫৭.৯২ শতাংশ থাকলেও এবার তা বেড়ে ৬৮.৭৫, ৬৫.৪৬ ও ৬৫.৩৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।‘তিন পার্বত্য’ জেলায় পাসের হার বাড়লেও চট্টগ্রাম নগরে এবার পাসের হার ০.৬১ শতাংশ কমেছে।