বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান ‘খাট’ জব্দের বিষয়টি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস কমিশনার জানান, গ্রিন টি বা সবুজ চা ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে আনা খাটের চালান দুটি ইথিওপিয়া থেকে ঢাকা পোস্ট অফিসে এসেছিল। সেখান থেকে গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রামে এসে পৌঁছে খাটের এই চালান দুটি। চট্টগ্রাম ও ফেনীর ঠিকানায় আসা দুটি পার্সেল চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, একই সময়ে দুটি আলাদা পার্সেলে মোট ১৩টি কার্টনে ২০৮ কেজি খাট বাংলাদেশে আসে। এগুলোর একটির প্রেরক ইথিওপিয়ার জিয়াদ মোহাম্মদ। প্রাপক হিসেবে লেখা হয়েছে মো. ইফতেখার হোসেনের নাম। তার ঠিকান বাড়ি নম্বর ২৩, রোড ১, লেইন ৪, নিউ এ ব্লক হালিশহর। মোট ১০টি কার্টনে তার নামে পাঠানো হয়েছে ১৬০ কেজি খাট।
আরেকটি পার্সেল এসেছে ইথিওপিয়ার জেমিরা ট্রেডিং (পিএলসি) থেকে। এটির প্রাপক আরিফ এন্টারপ্রাইজ। ঠিকানায় লেখা হয়েছে প্রযত্নে আরিফ ভূঁইয়া, শান্তিধারা আবাসিক এলাকা, শান্তি কোম্পানি, ফেনী সদর, ফেনী। এই ঠিকানার অনুকূলে তিনটি কার্টনে ৪৮ কেজি খাট পাঠানো হয়েছে।
কাস্টমস কমিশনার আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈদেশির ডাক বিভাগের মাধ্যমে আসা দুটি চালান আটক করেন তারা। ঘোষণা দেয়া হয়েছিল যে এসব কার্টনে আসছে গ্রিন টি বা সবুজ চা। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এগুলো গ্রিন টি নয়, বরং ভয়ানক মাদক খাট। এটি হচ্ছে ক্যাথেলিন গ্রুপের একটি উদ্ভিজ্জ পদার্থ। এই মাদক ইয়াবার চেয়েও ভয়ঙ্কর। যা জীবন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।