র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. মাশকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার ভোরে বাঁশখালীর মনকির চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-৭ এর মেজর মেহেদী হাসানের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ২৪ এপ্রিল বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের ৭ম শ্রেণির মাদরাসার ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে শিক্ষক মো. ফয়জুল্লাহ মাদরাসা কক্ষের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরিবারের সদস্যদের কাছে মেয়েটি জানায়, প্রতিদিনের মতো প্রাইভেট পড়া শেষে তার সাথের বান্ধবীদের বের করে দিয়ে শিক্ষক মো. ফয়জুল্লাহ তাকে মাদরাসা কক্ষের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি মাদরাসার পরিচালক (বড় হুজুর) মাহমুদুল্লাকে জানায়। তিনি ঘটনাটি শুনে তা সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এরপর গত ২৫ এপ্রিল ও ২৭ এপ্রিল স্থানীয় মেম্বার বৈঠক করে যে সিদ্ধান্ত নেয় বিবাদী মো. ফয়জুল্লাহ সে সিদ্ধান্ত না মেনে পালিয়ে যায়। পরে এ নিয়ে আদালতে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে পুলিশ মেডিকেল রিপোর্টের জন্য ওই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মেডিকেল প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১ মে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক মো. ফয়জুল্লাহর বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলার পরপরই পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-৭ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার ভোরে ফয়জুল্লাহর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাঁশখালীর ৯নং শিলকুপ ইউনিয়নের মনকির চর মহল্লা পাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ফয়জুল্লাহকে বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান মেজর মেহেদী।