বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় প্রথম দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি। প্রত্যাশিত টিকিটের আশায় কেউ রাত থেকে আবার কেউ সেহেরির পর থেকে টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়ালেও সকালে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সমস্যা দেখা দেয় সার্ভারে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন টিকিটের জন্য কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রেল স্টেশনে টিকিট নিতে আসা যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ পালন বা ঈদের ছুটি কাটাতে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে টিকিটের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রীরা।
এতো ভিড়ের মধ্যে সার্ভারের সমস্যার কারণে প্রথম ১৫ মিনিটে যেখানে শতাধিক টিকিট বিক্রি হওয়ার কথা সেখানে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪-৬টি টিকিট। প্রথম দিনে এভাবে সার্ভার বিকল বা সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণে কাউন্টারের সামনে অপেক্ষায় থাকা টিকিট প্রত্যাশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বুধবার প্রথম দিন দেওয়া হচ্ছে ৩১ মে’র অগ্রিম টিকিট। অ্যাপসসহ প্রায় ১২ হাজার টিকিট দেওয়া হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দেয়া হবে ১ জুনের টিকিট, শুক্রবার (২৪ মে) দেয়া হবে ২ জুনের টিকিট, শনিবার (২৫ মে) দেয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং রবিবার (২৬ মে) দেয়া হবে ৪ জুনের টিকিট।
এছাড়া ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট।
এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক বলেন, কাউন্টারে টিকিট বিক্রির পাশাপাশি আমরা রেলওয়ের অ্যাপসেও টিকিট বিক্রি করছি। যার ৫০ শতাংশ রেলওয়ের অ্যাপসে এবং বাকি ৫০ শতাংশ স্টেশন কাউন্টারে।
সার্ভারের সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের সময় অনলাইনে সমস্যা করে। কারণ সবাই একসঙ্গে রেজাল্ট জানার জন্য ঢুকে। ঠিক অ্যাপসেও সবাই টিকিট কাটার জন্য ঢুকছে, তাই আজ প্রথম দিন শুরুতেই সার্ভারে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবুও বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ে কাজ করছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সুবর্ণ এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল সাতটায়, মহানগর এক্সপ্রেস ১২টা ৩০ মিনিটে, গোধূলী বিকেল ৩টায়, সোনার বাংলা বিকাল ৫টায়, মেইল এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ১০টায়, তূর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১১টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ১২ হাজার টিকিট দেয়া হবে। রেলওয়ের অ্যাপসে ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার টিকিট ও বাকি ৬ হাজার টিকিট রেলস্টেশনে দেয়া হবে। এরমধ্যে ভিআইপি টিকিটও রয়েছে।