বিশাল এ স্বর্ণের চালান আটকের পর সোমবার চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্স কনফারেন্স হলে জেলা পুলিশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।
তিনি জানান, স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত গডফাদারদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে রবিবার দুপুরে পৃথক অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরী সিআরবি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশ পৌনে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০০ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার ও একটি প্রাইভেটকারসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। একই সময় জেলার মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার উত্তর সোনা পাহাড় এলাকায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে একটি পাজেরো থেকে ৬০০ পিস স্বর্ণের বারের আরেকটি চালান জব্দ করে ও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি নূরে আলম মিনা বলেন, ‘স্বর্ণের বারগুলো আকাশ পথ নাকি নৌ পথে এসেছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে বারগুলো দুবাই থেকে এসেছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি পেশাদার চোরাচালানের সাথে যুক্ত। তাদের সাথে আর কে কে যোগ আছে তা বের করার চেষ্টা চলছে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে এই বিষয়ে আরও তথ্য পাবো।’
মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন নিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) স্বর্ণের বারগুলো ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের যে স্থানে ধরা পড়েছে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। পার্বত্য এলাকা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযোগস্থল বারইয়ারহাট। এই এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করা গেলে মহাসড়কে কোনো ধরনের চোরাচালান সম্ভব হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল আবছার ভূঁইয়া (ডিএসবি), মিরসরাই সার্কেল অফিসার মফিজ উদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতেখার হোসেন।