তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৫৭টি খালের মধ্যে কিছু খালের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর সংস্কার চলছে। ধীরে ধীরে সব খাল সংস্কার করা হবে।
শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের সুবিধার জন্য যা করা দরকার সবকিছুই বাস্তবায়ন করা হবে। চট্টগ্রাম হবে আলোকিত শহর। বর্ষাকালে মানুষ যাতে অস্বস্তিকর পরিবেশে না পড়ে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং রাস্তা আরও চওড়া করা হবে।
চট্টগ্রাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনেক ইচ্ছা-স্বপ্ন আছে। তিনি সবসময় চট্টগ্রমের উন্নয়নের কথা ভাবেন। তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। যে যেই দায়িত্বেই থাকি না কেন, সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ শেষ করতে হবে।’
‘চট্টগ্রাম দিয়েই বাংলাদেশের অর্থনীতি পরিচালিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের কারণেই আমরা স্বপ্ন দেখছি, স্বপ্ন পূরণে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। তাই মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই এখানে এসেছি, সবার সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করেছি। চট্টগ্রামের সমস্যা চিহ্নিত করব, সমাধানের পথ খুঁজে নেব,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি জানান, একনেকের সভায় চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ে হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে চট্টগ্রামের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এসএম গোলাম ফারুক, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।