মঙ্গলবার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ বাজেট পেশ করেন।
গত অর্থবছরে সর্বমোট দুই হাজার ৪২৫ কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আদায় হয় দুই হাজার ৪৫ কোটি ৫১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বা ৮৪.৩৩ শতাংশ।
এবার বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করেন মেয়র।
বাজেটে উন্নয়ন অনুদান ও কর আদায়কে উল্লেখযোগ্য আয়ের খাত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। চসিক গত অর্থবছরে এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে এক হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা উন্নয়ন সহযোগিতা পায়। সেই প্রত্যাশায় এবার এক হাজার ৭০২ কোটি টাকা উন্নয়ন অনুদান প্রাপ্তির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাল কর আদায়ের ক্ষেত্রে ২০১৮-১৯ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৪ কোটি ৩৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। আদায় হয়েছে ৯০ কোটি ৩৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, যা লক্ষ্যের প্রায় ৬২.৬১ শতাংশ। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
অন্যান্য কর আদায় খাতে লক্ষ্যমাত্রা ১৩৩ কোটি টাকার বিপরীতে গত বছর আদায় হয় ১১৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। এবার এ খাতে ১৩২ কোটি দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
সর্বমোট কর আদায় খাতে ২০১৭-১৮ সালের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ১৬ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে।
বাজেট ঘোষণাকালে মেয়র বলেন, নগরবাসীর আশা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটানো এবং চট্টগ্রাম মহানগরকে পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নান্দনিক বাসযোগ্য নগর হিসেবে প্রতিষ্ঠায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০১৮-১৯ সালে এক হাজার ৩৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী পর্যন্ত খাল খননের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করতে ৮৫১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জেলা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫৯ কিলোমিটার সড়ক, ২.২০ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল, ১৪ কিলোমিটার ড্রেন, চারটি সেতু ও দুটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলমান আছে।
নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আধুনিক নগর ভবন নির্মাণের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের সভায় উত্থাপিত হবে। আশা করছি চলতি বছর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বিমানবন্দর সড়ক চার লেন করার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে তা জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, বর্তমান মেয়াদে নগরীর যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিগত ২০ বছরে হয়নি। ‘২৭ বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো অর্গানোগ্রাম অনুমোদন করা যায়নি। আমি তা অনুমোদন করিয়েছি। আগামীতে আর একটি নতুন অর্গানোগ্রাম অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।’
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে বাজেট ঘোষণায় প্যানেল মেয়র হাসান মাহমুদ হাসনী, নিছার আহমেদ মঞ্জু, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।