পুলিশ বিএনপির ১১ নেতাকর্মী আটক করেছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, পুলিশের উপর হামলা, কাজে বাধাদানের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে একের পর এক হামলা ও বিএনপি প্রার্থী নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে আছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতির বাসভবন জেলা শহরের ‘মুনিরা ভবনে’ এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা বলেন, চাঁদপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিন নির্বাচনী প্রচারণা করতে তার নিজ এলাকায় যান। দুপুর ১টার দিকে তিনি তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। ভাঙচুর করা হয় বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি। পরবর্তীতে দুপুর ৩টায় বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপি প্রার্থী তার বাড়ি থেকে বের হলে আবারও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা করে। পুলিশ গুলি ছুড়েছে। এ সময় প্রার্থী ও কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এরপর থেকে বিএনপি প্রার্থী তার বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
এ বিষয়ে ওসি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়েছে। পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
জেলা বিএপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুনির চৌধুরী ও আক্তার হোসেন মাঝি বলেন, শুধুমাত্র মতলবেই নয়, চাঁদপুরের ৫টি আসনেই তাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে। আর পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে।
তারা বলেন, বিষয়টি আমরা পুলিশ সুপার ও রির্টানিং অফিসারের কাছে একাধিকবার লিখিতআকারে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা বা সুরাহা করেনি, বরং উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে মুঠোফোনে বিএনপি প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর আমার উপর হামলা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমি এবং আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।