মঙ্গলবার দুপুর ২টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে।
হত্যার শিকার আলিমের নেছা (৬০) ফরিদগঞ্জ উপজেলার আলোনিয়া গ্রামের মো. সাহাজ উদ্দিনের স্ত্রী এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত মো.সফিকুর রহমান (৩৫) তারই ছেলে।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ জানান, ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টায় বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা না দেয়ায় আসামি সফিকুর ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে নিজ বসতঘরে দা দিয়ে গলা কেটে জখম করে। কিছুক্ষণ পরে ওই কক্ষ থেকে শব্দ হলে সাহাজ উদ্দিন গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার স্ত্রীকে দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই আলিমের নেছার মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ওইদিনই সাহাজ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের ছেলে সফিকুর রহমানকে আটক করে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হলে মাকে নিজেই হত্যা করেছে আদালতে এই মর্মে জবানবন্দি দেন তিনি।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো।