বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা শুক্র ও শনিবার ইজতেমায় অংশ নেবেন এবং শনিবার বিকালে আখেরি মোনাজাত শেষে ময়দান ত্যাগ করবেন।
পরে বিশ্ব ইজতেমার দিল্লি মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সা’দ কান্দলভির অনুসারীরা রবি ও সোমবার ইজতেমায় যোগ দেবেন এবং তারা শেষ দিন তাদের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
ইজতেমার প্রথমদিন শুক্রবার কয়েক লাখ মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে হাজার হাজার মুসল্লি তুরাগ তীরে উপস্থিত হয়েছেন। সেই সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক হাজার বিদেশি মেহমানও এসেছেন।
এদিকে, নির্বিঘ্নে ইজতেমা আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ময়দানকে ঘিরে আট স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নজরদারি করার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বাসানো হয়েছে।
ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার জন্য বিভিন্ন রুটে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে চলবে জুম্মা স্পেশাল। পর দিন প্রথম দফা আখেরি মোনাজাতে চারটি স্পেশাল ট্রেন ঢাকা-টঙ্গীর মধ্যে চালানো হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার বেলালুর রহমান জানান, ইজতেমার মুসল্লিদের মধ্যে দুটি পক্ষ থাকায় এবার সতর্ক অবস্থায় থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এবারও ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরা এবং ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি।
আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ দিতে ইজতেমা ময়দানের পাশে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বৃহস্পতিবার এ ক্যাম্প উদ্বোধন করেন।
এবারের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের কারণে তা স্থগিত করা হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয়, এ বছর ইজতেমা এক পর্বে আয়োজন করা হবে।
তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে ১৯৬৭ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার এ ধর্মীয় মহাসমাবেশ হয়ে আসছে। আর ইজতেমার আয়োজন সহজ করতে ও যানজট কমাতে ২০১১ থেকে ইজতেমা দুই পর্বে হচ্ছিল।