শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় (স্থানীয় সময়) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে বিদায় জানান চীনের ভাইস ফরেন মিনিস্টার লুও ঝাওহুই ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল করিম।
বেইজিং ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ‘স্ট্যাটিক গার্ড’ দেয়া হয়।
শনিবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর পাঁচদিনের সফরে গত ১ জুলাই চীন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং সহ দেশটির শীর্ষ নেতাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।
রোহিঙ্গারা যাতে শিগগিরই তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারেন সেজন্য এ সংকটের দ্রুত সমাধানের বিষয়ে একমত হয়েছে চীন।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) জানিয়েছে, আপসে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য তারা মিয়ানমারের শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত ৯টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার জন্য এলওসি (লেটার অব এক্সচেঞ্জ) এবং অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি এবং পর্যটন সংক্রান্ত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক । এছাড়া চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের সাথে দুটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
চীন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনা এবং চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া শেখ হাসিনা তিয়েনআনমেন স্কয়ারে হিরোস মেমোরিয়ালে চীনা বিপ্লবের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।