তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষকে কিছু দেয়ার জন্য নিজেদের গঠন করতে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে থাকবে, ত্যাগের মানসিকতা ধারণ করবে, আদর্শের পথ অনুসরণ করবে এবং ছাত্রলীগের আদর্শ ধারণ করবে। যাতে জাতির পিতার বিদেহী আত্মা শান্তি পায়।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ যদি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশ ও মানুষের জন্য তার মতো নিবেদিত কর্মী হিসেবে কাজ করতে হবে। ‘জাতির পিতা তার জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে দেশ ও মানুষের সেবা করেছেন। সেই দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে আমাদের শপথ নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে ভাবতে হবে তারা দেশ ও মানুষের জন্য কতটুকু দিয়েছে, যার জন্য বঙ্গবন্ধু তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
আদর্শ ও নীতি ছাড়া কেউ সত্যিকারের নেতা হতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন হয়তো সাময়িকভাবে নেতা হতে পারেন, কিন্তু সেই নেতৃত্ব দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস অর্জন করা যেকোনো রাজনৈতিক নেতার জন্য সর্বোচ্চ অর্জন। ‘এবং বঙ্গবন্ধু তা অর্জন করেছিলেন। যার জন্য দেশের মানুষের পাশাপাশি বিশ্ব এখনো তাকে মনে রেখেছে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা শুধুমাত্র তাকে হত্যা করেনি, সেই সাথে দেশের ইতিহাস মুছে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন এবং মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর গড়ে তুলেছিলেন বলে ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করে।
তার মতে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ মাত্র ১০ বছরে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হত। হয়ে ওঠত ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা। যা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন।
প্রধানমন্ত্রী তার মা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ত্যাগ সম্পর্কে বলেন, ‘আমার মা সারা জীবন সাধারণ জীবনযাপন করেছেন, এমনকি বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও।’
অতীতের সব রাজনৈতিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সব সফলতা এসেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ত্যাগের মাধ্যমে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে আরও বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।