নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে দেয়া সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের বিষয়টি দেখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, যেসব অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত হবে তা পরে ঘোষণা করা হবে। ‘এসব অনুষ্ঠান আমরা এখনই পালন করব না। তবে অন্যান্য অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী হবে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে যাওয়ায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরাও সমস্যায় পড়বেন। এ সংকট কেটে যাওয়ার পর অনুষ্ঠানগুলো পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা জানান, রবিবার শেখ রেহানা, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ পরিবারের সদস্যরা জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সাথে বসেন এবং যেসব অনুষ্ঠানে বিপুল মানুষের সমাগম হবে সেগুলো পুনর্বিন্যাসে তারা সবাই সম্মতি দেন। ‘আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণ সবার আগে।’
তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সুযোগ পাওয়া তাদের জন্য এক বিরাট সুযোগ। ‘এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আমরা অনুষ্ঠানে কম মানুষের জমায়েতের বিষয়টি বিবেচনা করে ভিন্নভাবে তা পালন করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হলো দেশের মানুষকে যে কোনও মূল্যে বিপদ থেকে দূরে রাখা।
তিনি আরও জানান, সরকার একই কারণে স্বাধীনতা দিবসে (২৬ মার্চ) শিশুদের সমাবেশের অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ‘করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে আমরা ঢাকা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল প্রস্তুত করেছি।’
কারও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে বরং চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সেই সাথে তিনি হাত পরিষ্কারক কেনা বিষয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরির জন্য কিছু সংবাদপত্রের সমালোচনা করেন।