মোবাইল ফোন টাওয়ারের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের রিট আবেদনের চূড়ান্ত রায়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।
রায়ে আদালত মোট ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা চার মাসের মধ্যে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্ট ২৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রায় দেয়। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
রায়ে মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ১/১০ ভাগ করা, বিকিরণ মাত্রা যেন বেশি না হয় তার ব্যাপারে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, টাওয়ার বসাতে জমি অধিগ্রহণে কোনো বাধা আছে কি না বা বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ এবং টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা বিটিআরসি এবং অপারেটর দুই পক্ষকেই স্বাধীনভাবে আইটিইউ এবং আইইসি’র মান অনুসারে পরিমাপ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সেই সাথে কোনো টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রা বেশি হলে তা অপসারণ করে নতুন টাওয়ার বসানো, টাওয়ার ভেরিফিকেশন মনিটর পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিটিআরসির দায়-দায়িত্ব বাধ্যতামূলক করা, বিটিআরসির স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং সেল গঠন ও মোবাইল সেটে দৃশ্যমানভাবে এসএআর মান লেখার কথা রায়ে বলা হয়েছে।
এ রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে হাইকোর্টের নির্দেশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তিন দফা সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেয়। এতে বলা হয়, মাত্র একটি টাওয়ারে মাত্রাতিরিক্ত বিকিরণ পাওয়া গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের দেয়া নির্দেশনার আলোকে বিটিআরসি নীতিমালা করে এবং পরবর্তীতে এতে আরও কয়েকদফা সংশোধনী এনে আদালতে দাখিল করে। এরপর শুনানি শেষে রায় দেয় আদালত।