বিকালে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলদা সি হেইনি বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কার্যক্রম প্রসারে হেইনির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হলেও এটি স্বল্প পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ করছে।
বাংলাদেশ তার ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতে নিরলসভাবে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি জানান, গত এক দশকে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গড়ে প্রতিবছর ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা ও জ্বালানি সংরক্ষণে ক্রমবর্ধমান জোর দিয়ে নিম্ন-কার্বন নিঃসরণকারী উন্নয়নের পথ অনুসরণ করছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সংযোগহীন এলাকায় গত কয়েক বছরে প্রায় ৫০ লাখ বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্থাপন করেছে বলে জানান তিনি।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য হিসেবে ২০২০-২২ মেয়াদে বাংলাদেশকে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সমর্থনের জন্য হিলদা সি হেইনিকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
প্রেসিডেন্ট হেইনি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে কথা বলার জন্য দুই দেশ অঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এক সাথে কাজ করতে পারে।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নেরও প্রশংসা করেন।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বিশেষ সহকারী কারসান হেইনিসহ রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপ্টেশন’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন হিলদা সি হেইনি।