মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডের দ্য হেগে গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
জলবায়ু অভিযোজনে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণ এবং এর সমস্যা সমাধানে জিসিএ একটি নতুন উদ্যোগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, কোস্টারিকা, মার্শাল আইল্যান্ড ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, চীনের প্রিমিয়ার, জার্মান চ্যান্সেলর এবং নেদারল্যান্ড, ভারত, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ইথিওপিয়া ও গ্রানাডার প্রধানমন্ত্রী জিসিএর আহ্বায়ক বলে বুধবার দ্য হেগের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে।
বৈশ্বিক জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের জোরালো এবং উদ্ভাবনাময়ী ভূমিকার জন্য বান কি-মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসাও করেন।
পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, কেবলমাত্র আলোচনাতে এ সমস্যার সমাধান হবে না।
‘এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অর্থায়ন প্রয়োজন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যক্তি পর্যায়ে অর্থায়ন খুবই দুস্কর। ফলে উন্নত দেশগুলোকে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থায়নে এগিয়ে আসা দরকার,’ যোগ করেন তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন আন্তদেশীয় সমস্যা জানিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ হিমালয়ের বরফ গলার মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, হিমালয় বেসিন উপযোগী যথাযথ সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবেলা সম্ভব।
নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জের প্রতি আলোকপাত করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। যার মাধ্যমে তিনি জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বাংলাদেশ তার নিজস্ব দৃষ্টান্তমূলক এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রয়োগের মাধ্যমে এদেশের মানুষের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তা এবং অগ্রগতি সম্ভব করবে।
মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার বিষয় তুলে ধরে তাদের বাসস্থান এবং আহারের ব্যবস্থা করতে কীভাবে বাংলাদেশের পরিবেশের ওপর এর অভিঘাত হচ্ছে তা তুলে ধরেন।
জলবায়ু অভিযোজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে মর্মে মন্ত্রী সবাইকে আশ্বস্ত করে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াকে একটি পরিবেশ বান্ধব এলাকা হিসেবে দেখতে চায় এবং এক্ষেত্রে করণীয় সবকিছুতে বাংলাদেশ রোল মডেলের ভূমিকায় থাকবে।