তিনি বলেন, ‘সারা দেশে সমস্ত খাল, বিল, হাওর, পুকুর এবং নদীগুলোর নাব্যতা (বাড়ানো) প্রয়োজন, খনন করে ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এটা করা হলে একদিকে যেমন আমাদের জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষিত হবে, অপরদিকে মাছের উৎপাদন বাড়বে এবং আমরা দেশের মানুষের মাছের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হব।’
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
শেখ হসিনা বলেন, তার সরকার এ ক্ষেত্রে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং লক্ষ্য অর্জনে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- গ্রিনরোডের নবনির্মিত বহুতল পানি ভবন, আগারগাঁওয়ে বহুতল পর্যটন ভবন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও ভেতরে বঙ্গবন্ধু কর্নার এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (ফেজ-১) প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে তার সরকার বিশেষ নজর রাখছে। ‘আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের জনগণকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা।’
সরকার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নদীর পানির ট্রিটেমেন্ট (ব্যবহার উপযোগী) করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নিরাপদ পানি সরবরাহের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত ১৩ তলা বিশিষ্ট পর্যটন ভবনটি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড এবং অন্যান্য সংস্থার অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হবে। পানি ভবন নামক ১২ তলা বিশিষ্ট ভবনটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের তৈরি নকশার সাহায্যে নির্মিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা পানি ভবন এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এবং এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিনিয়র) মো. মহিবুল হক এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (সিনিয়র) কবির বিন আনোয়ার।