মন্ত্রণালয়ও এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ‘তৎপরতার সাথে ব্যবস্থা’ নিয়েছে এবং নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বেলা ১১টার দিকে মিয়া সেপ্পো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (জাতিসংঘ অনুবিভাগ) মহাপরিচালক নাহিদা সোবহানের দপ্তরে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো অবস্থান করেন। তবে বৈঠকের পর তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ দূত মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মৌলিক অধিকার। এর চর্চার জন্য কাউকে হয়রানি, নির্যাতন ও হত্যা করা উচিত নয়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকটি নিয়মিত বৈঠকের অংশ ছিল এবং তারা উভয়ই আবরার ফাহাদ হত্যার বিষয়টিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীকে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন প্লাটফর্মে মত প্রকাশের ব্যাপারে সরকার কাউকে বাধা দেয়নি।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ১৫ জনসহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।