তিনি বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর নামে প্রকল্প হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী জানুয়ারিতে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নওকি ইতিওর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে টেকনলজি দেখতে জাপানি সরকারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমাদের মাথাপিছু আয় যেমন বাড়ছে, মাথাপিছু বর্জ্যও বাড়ছে। তাই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হচ্ছে। নইলে খাল-বিল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা আরও ভালো করতে হবে। জাপানের বর্জ্য ব্যবস্থপনা দেখে আমরা একসাথে কাজ করব।’
ঢাকা শহরে বর্জ্যের কারণে প্রায় মৃত খালগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন বর্জ্য সংগ্রহ করে, এটা তাদের দায়বদ্ধতা। অনেক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বর্জ্য পড়ে থাকে কিন্তু যেখানেই এই বর্জ্য আমরা নেব না কেন তা ধ্বংস করতে হবে। সেজন্য সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। পুড়িয়ে ফেললেও পরিবেশ দূষণ হবে।’
ধুলাবালির বিষয়ে সিটি করপোরেশন উদ্যোগী হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে পানি ছিটালে ড্রেনে যাবে, ড্রেনে ময়লা জমবে। এটি এমনভাবে করতে হবে যাতে তা একেবারেই ধ্বংস হয়। সেক্ষেত্রে এখানে চ্যালেঞ্জ আছে। সেজন্য কিভাবে সব একসাথে পরিষ্কার করা যায় সেটি আমরা দেখছি।’
‘সেজন্য টেকনলজি ব্যবহার করে সঠিকভাবে প্রতিদিন ৫-৬ হাজার টন বার্ন করতে পারলে এবং তা দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব। পরে সেই বিদ্যুৎ আমরা কিনে নিতে পারব। সেজন্য এ প্রক্রিয়ার জন্য কোম্পানিগুলোর কাছে টেন্ডার আহ্বান করেছি। তারা বর্জ্য থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে সেটা আমাদের কাছে বিক্রি করবে, সেটাই তাদের লাভ,’ যোগ করেন তিনি।
সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো টাউনশিপ করার জন্য জাপান সহযোগিতা করবে। এছাড়াও শতভাগ সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনার জন্য সহযোগিতা করবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ (ডিসিসি) নগর উন্নয়ন ও দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানের কাজ করার কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
এছাড়া মাতারবাড়ি, মহেশখালীতে জাপানের বিনিয়োগ আছে। সুয়ারেজ, সিটি গভর্নেন্স, ওয়াটার ম্যানেজমেন্টে তাদের বিনিয়োগ আছে। আমার গ্রাম আমার শহরের বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি, তারা সহযোগিতা আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান তিনি।