তিনি মঙ্গলবার রাতে টোকিওর ইম্পেরিয়াল প্যালেসে সিংহাসন আরোহণ অনুষ্ঠান পরবর্তী ভোজসভায় সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীকে অভিবাদন জানানোর সময় মৌখিকভাবে এ আমন্ত্রণ জানান।
রাষ্ট্রপতি ভোজসভার ফাঁকে সম্রাটকে অভিবাদন জানানোর পাশাপাশি তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বুধবার সকালে ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
আবদুল হামিদ এ সময় আরও কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানের মূল পর্বে রাষ্ট্রপতির সাথে ছিলেন তার স্ত্রী রাশিদা খানম ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ইম্পেরিয়াল প্যালেসের স্টেট হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সম্রাটের সিংহাসন আরোহণ উদযাপনের জাতীয় অনুষ্ঠানের (২২ থেকে ৩১ অক্টোবর) অংশ হিসেবে এ সিংহাসন আরোহণ হয়। এতে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও অন্যান্য বিশিষ্টজনসহ ১৭৪ দেশের দুই হাজারের মতো অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ জাপানের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর ইয়োকোহামা সফর করেন এবং সেখানে কিছু সময় কাটান।
তিনি ইয়ামাশিতা পার্ক এবং হিকাওয়া মারো জাহাজের ভেতরে বানানো এনওয়াইকে মেরিটাইম জাদুঘরে কিছু সময় অতিবাহিত করেন। যাত্রীবাহী এ জাহাজটি ১৯৩০ সালে বানানো হয়েছিল জাপান-যুক্তরাষ্ট্র রুটে চলাচলের জন্য।
রাষ্ট্রপতি হোটেল নিউ ওতানিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আয়োজিত ভোজসভায়ও অংশ নেন।
জাপান ও সিঙ্গাপুরে আট দিনের সরকারি সফরে সোমবার টোকিও পৌঁছান রাষ্ট্রপতি হামিদ। তিনি দেশে ফেরার পথে ২৫-২৭ অক্টোবর সিঙ্গাপুর সফর করবেন। তার ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।