শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শেউলি আক্তার।
তিনি বলেন, ‘অযত্ন ও অবহেলার কারণে নবজাতকটি শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যায়। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব ছিল।’
এর আগে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রশাসন হলের ৪২৪ নম্বর কক্ষের একটি ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে।
নবজাতকটির মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, রুমমেট ও আশেপাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা তার (নবজাতকের মা) প্রসব বেদনার কথা জানতে পারেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে জানালে নার্স এসে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজে নিতে বলেন।
কিন্তু, এর আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে কাউকে না জানিয়ে নবজাতককে ট্রাঙ্কে তালাবদ্ধ করে রাখেন তিনি। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে এনাম মেডিকেলে নেয়ার পর তার কক্ষে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ পান অন্য শিক্ষার্থীরা।
খোঁজাখুঁজি করে কক্ষে থাকা ট্রাঙ্ক থেকে তালা ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করে হল প্রশাসন। পরে নবজাতককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এনাম মেডিকেল পাঠান।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু জাফর সালেহ বলেন, ‘নবজাতককে যখন মেডিকেলে আনা হয়, তখন তার শরীর সম্পূর্ণ নীল রং ধারণ করেছিল। পরবর্তীতে শিশুটিকে অক্সিজেন দিয়ে এনাম মেডিকেলে পাঠিয়েছি।'
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি খুবই স্পর্শকাতর একটা ব্যাপার। আবাসিক শিক্ষক লাবিবা খাতুন তানিয়াকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
এদিকে এক বছর আগে বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী।