রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার খানমের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক ও ছাত্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় উচ্চশিক্ষা ও শিক্ষাবৃত্তি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন জার্মান একাডেমিক এক্সেঞ্জ সার্ভিসের বাংলাদেশ প্রতিনিধি রোমানা কবির।
তিনি বলেন, বর্তমানে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা প্রক্রিয়ার জন্য সারাবিশ্বে মাত্র ৭০টি অফিস আছে। তার মধ্যে ঢাকায় রয়েছে একটি। বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় ৭৫ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি প্রায় ২ হাজার ৫০০ এর মত শিক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়াও তিনি জার্মানিতে শিক্ষা গ্রহণে বহুমুখী সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
ভিসা ও আবশ্যিক শর্তাবলী সম্পর্কে বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা তামারা কবির যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি তুলে ধরেন। কিভাবে ভিসা সম্পন্ন করা যাবে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দমত বিষয় কিভাবে পাওয়া যাবে, কিভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাসহ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন তিনি।
সার্বিক বিষয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হালিমা হক বলেন, 'জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য যেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় তা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে তুলনামূলক সহজ। আমিও অতি শিগগিরই জার্মানিতে পিএইচডি করার জন্য যাচ্ছি। সম্পূর্ণ টিউশন ফি ব্যতীত জার্মানির মত একটা দেশে পিএইচডি করার সুযোগ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়। যদি বাইরের কোন দেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের ইচ্ছা থাকে তবে আমি বলবো তোমরা অবশ্যই জার্মানিতে শিক্ষা গ্রহণের এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারো।’