পাশাপাশি সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আব্দুল আউয়াল, আল-আমিন ও সুফল। এদের মধ্যে আল-আমিন ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল করিম, সাফিয়া খাতুন, আব্দুল কাদির ফকির, সোহেল, রিপা আক্তার, মোছা. জহুরা খাতুন ওরফে অনুফা ও আব্দুর রউফ ফকির ওরফে রুপ মিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় হোসেনপুর উপজেলার টানসিদলা গ্রামের জহিরুল ইসলাম রতনের একমাত্র ছেলে চয়ন নিহত হন।
চয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে রেলওয়েতে স্টেশন মাস্টার হিসেবে নিয়োগ পান। চাকরিতে যোগদানের ঠিক দুদিন আগে তাকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার দিন দুপুরে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চয়নদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার মা ও বোনকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তাদের রক্ষা করতে গেলে চয়নকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হোসেনপুর উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা জহিরুল ইসলাম রতন বাদী হয়ে ঘটনার দিন ৯ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে আমিনুল হক ওরফে হিরা নামে এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়।
এদিকে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের মা মোমেনা খাতুন ও বাবা জহিরুল ইসলাম রতন। মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি যজ্ঞেশ্বর রায় ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।