সোমবার বিকালে এলাকার স্কুল ও কলেজগামী যুবকেরা ঝড়বৃষ্টির পর ভাঙা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে বিশাল আকারের একটি নৌকা চালিয়ে অভিনব এ প্রতিবাদ জানায়।
সাফদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নওশের আলী বলেন, ‘খালিশপুর বাজার থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রাস্তাটি ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গেছে। রাস্তায় এখন খালি পায়েও চলা যায় না। গত পাঁচ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামত হয় না। আমরা বহুবার ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে বলেছি। তারা আমাদের অভিযোগ আমলে নেয় না। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ স্বরূপ এলাকার ছেলেরা ভাঙা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে নৌকা চালিয়ে প্রতিবাদ করেছে।’
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই ছবি পোস্ট করলে অনেকেই তা শেয়ার করেন।
সাবদারপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব নছর জানান, খালিশপুর থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামত না করার কারণে এলাকার প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কালীগঞ্জ সার্কেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদার রহমান ইউএনবিকে জানান, কোটচাঁপুরের চাঁদপাড়া, তালিনা, লক্ষ্মীপুর, সাবদারপুর হয়ে খালিশপুর বাজার পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। গত বছরও পিএমপি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু হেড অফিস অনুমোদন দেয়নি। ফলে ওপর মহলের পরামর্শে এডিবি দিয়ে বিধ্বস্ত রাস্তটি মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য স্বীকার করে বলেন, ‘আশা করা যায় আগামী জুনের পর গোটা রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যে এডিপি থেকে ১০ কিলোমিটার রাস্তা করার অনুমোদন এসেছে।’