ঘটনার ৩ মাস পর বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ২নং পুনর্বাসন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তাকে জেল হাজতে পাঠান।
আলম খন্দকার ওরফে বিষু মিয়া একই এলাকার মৃত ইন্নছ খন্দকারের ছেলে।
ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই কবিরুল হক বলেন, ‘বাসের চালক দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এর আগে এ ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার মো. এরশাদ ও হেলপার নাজমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা উভয়ই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক প্রতিবন্ধী নারী টাঙ্গাইল থেকে বাসযোগে পাথাইলকান্দি বাসস্ট্যান্ডে নামছিলেন। তবে চালক আলম মিয়া এবং হেলপার নাজমুল হোসেন ওই নারীকে বাস থেকে নামতে দেয়নি। এরপর বাসের হেলপার নাজমুলের সহযোগিতায় চালক ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারীর কান্নার আওয়াজ শুনে বাসস্ট্যান্ডের লোকজন থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশ বাসের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে।