চট্টগ্রাম জুড়ে গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হলেও রবিবার রাত থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পানি জমে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে, সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
নগরীর বহদ্দার হাট, কাপাসগোলা, চকবাজার, ষোলশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, হালিশহর, খাতুনগঞ্জ ও বাকলিয়াসহ বেশ কিছু এলাকাতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় সকাল থেকে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় বা ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূ্র্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দুদিনে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ২৫০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়া, ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে নিজ উদ্যোগে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। রেড ক্রিসেন্ট নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু ও জেলা সিভিল সার্জন অফিস মেডিকেল টিম গঠন করেছে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন থেকে প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাঙামাটিতে ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সীতাকুণ্ডে ১৬৮ ও চট্টগ্রামে ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
তিনি আরও জানান, আগামী দুদিন বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বজায় রয়েছে।
জামালখানের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর কিছু এলাকাতে পানি জমে গেছে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা নালা নর্দমা পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের কাজ করছেন।