তিনি বলেন, ‘সংসদের বাইরে থেকে বিএনপি টিভি-রেডিও-সংবাদপত্রে যে প্রচার পায়, ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগ তা পায় না।’
দুপুরে রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) পরিচালিত চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ বিষয়ক দুটি ডিপ্লোমা কোর্স সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, টিভিতে নাকি তাদের এক-দুই সেকেন্ডের বেশি দেখানো হয় না। অথচ এ কথাটিই তিনি টিভিতে প্রায় এক মিনিট ধরে বলেছেন। তারা প্রায় প্রতিদিনই দু’বার করে গণমাধ্যমে কথা বলেন, প্রেস ব্রিফিং করেন, আর বলেন যে তাদের কথা বলতে দেয়া হয় না।’
‘গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে,’ যোগ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির অভিযোগের ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, তারা ডাক্তারদের চেয়েও বেশি জানে। বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তা দুঃখজনক। এই হাঁটুর ব্যথা নতুন নয়, এরপরও খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের দু’টি কেবিন অনেকদিন ধরে বরাদ্দ, এমনকি এখনও খালি রাখা আছে। কিন্তু তিনি সেখানে যাবেন না। বেগম জিয়ার জন্য কারাগারে সার্বক্ষণিক ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট ও নার্সের পাশাপাশি উপমহাদেশের ইতিহাসের সব রীতিনীতি ভেঙে বেগম জিয়ার পছন্দের গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে কারাগারে তার সাথে দেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে বিশেষ বিছানা, ফ্রিজ, টিভি এবং পৃথক রান্নাঘরও। তারপরও তারা এ নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। তাদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, জনগণের দল হলে বিএনপি জনগণের কাছেই যেতো, কিন্তু তা না করে তারা বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন, যার কোনো ফল নেই।’
ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণের সময় তা সমাজের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা সবার আগে বিবেচনায় আনতে হবে। আর মনে রাখতে হবে, ভৌত বা বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি আত্মিক ও মানবিকবোধের উন্নয়নের মাধ্যমের জাতির উন্নয়ন সম্ভব।’
বিসিটিআই’র প্রধান নির্বাহী ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- তথ্যসচিব আবদুল মালেক, এনআইএমসির মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম, বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ এবং অন্যতম কোর্স পরিচালক মারুফ নেওয়াজ প্রমুখ।