বৃহস্পতিবার জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তনয় কুমার সাহা।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগামী সপ্তাহে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হবে।
বিজিবির অভিযানে ‘নিরস্ত্র’ সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা ও কমপক্ষে ২০ জনকে গুরুতর আহত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রিটে রুল চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং অভিযানে জড়িত বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- সেই প্রশ্নেও রুল চাওয়া হয়েছে।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক ও ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, ‘দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যরা গরু ছিনতাইয়ের নামে অত্যন্ত বেআইনিভাবে নিরস্ত্র গ্রামবাসীর ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছেন। যা সংবিধানসিদ্ধ মানুষের বেঁচে থাকার মতো মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার পাশাপাশি এ পাশবিক অভিযানের সঙ্গে জড়িত বিজিবি কর্মকর্তাদের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।’
মঙ্গলবার চোরাই গরু ঢুকেছে সন্দেহে বিজিবি সদস্যরা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি গরু জব্দ করে ট্রাকে তুললে গ্রামবাসীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা গুলি চালালে দুই কৃষক ও একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হন, আহত হন অন্তত ২০ জন।
তবে বিজিবির দাবি, জব্দ করা গরু বিওপিতে নেয়ার সময় চোরা কারবারিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ওই পরিস্থিতিতে বিজিবি সদস্যরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়।