তিনি নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আনলেও শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেই দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে নির্বাচনের পর থেকে কখনো পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তো আবার দায়িত্ব নেয়ার কথা বলেছেন নূর। কিন্তু তিনি আসলে কী করতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছিল সেটি আজ সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার করলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নূর বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তাই আমরা একই সাথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি এবং এ জন্য আন্দোলন করে যাব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে নূর বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিকে অগ্রাধিকার দিতেই তার এ দায়িত্ব গ্রহণ।
তিনি আরও বলেন, ‘ডাকসু প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে একসাথে কাজ করব।’
নূরের সাথে প্যানেল থেকে ডাকসু নির্বাচনে সমাজসেবা সম্পাদক পদে বিজয়ী প্রার্থী আক্তার হোসেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনিও দায়িত্ব নেবেন বলে জানিয়েছেন।
২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত ১১ মার্চের ওই নির্বাচনে ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ভিপি ও সমাজ সেবা সম্পাদক ছাড়া ২৩টি পদ পায় ক্ষমতাসীন দলের সংগঠন ছাত্রলীগ প্যানেল।
তিন দশক পরে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের দিন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য সব প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানায়।