বৃহস্পতিবার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়েছে। বলা হয়েছিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল হবে। কিন্তু আসক উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে বিতর্কিত ৫৭ ধারায় থাকা মত প্রকাশের অধিকার সংকুচিত করার বিভিন্ন দিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও রেখে তা পাস করা হয়েছে।
‘ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের বিষয়ে জেল-জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এ কারণে আইনটি সংসদে উত্থাপনের আগে মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপনের পর থেকেই এসব বিধান বাতিলের জন্য আসকসহ বিভিন্ন নাগরিক ও মানবাধিকার সংগঠন দাবি জানিয়ে আসছিল,’ যোগ করা হয় বিবৃতিতে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় থাকা বিধানগুলো সংবিধানের মূল চেতনা, বিশেষ করে মুক্ত চিন্তা, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আসক।