বৃহস্পতিবার বিকালে শুনানি শেষে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
পরে রাত পৌনে ৭টার দিকে হেদায়েৎকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। এ সময় কারাফটকে খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলীসহ তার বিপুলসংখ্যক সহকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
হেদায়েৎ হোসেন মোল্লার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাছুম বিল্লাহ জানান, হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অসুস্থবোধ করায় বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। বিকাল ৪টার দিকে তাকে খুলনা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে, বিকালে সাংবাদিক হেদায়েতের জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী শুনানি শেষে আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
সাংবাদিক হেদায়েৎ মোল্লার পক্ষে আদালতে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক ও অ্যাডভোকেট মাছুম বিল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। ওই ফলাফলে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাট) আসনে মোট ভোটারের চেয়ে ২২৪১৯ বেশি ভোট গ্রহণ হয়েছে মর্মে বাংলা ট্রিবিউন ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাংলা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি ও দৈনিক প্রবাহের সিটি এডিটর হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা ও দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার রাশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় একইদিন দুপুরে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ হেদায়েৎকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালত তিন দিনের নিমান্ড মঞ্জুর করে। পুলিশ তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বৃহস্পতিবার আদালত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়।